সামানেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তার আগে সাবলীল ও আত্মবিশ্বাসী এক জয় তুলে
নিয়েছে টাইগাররা। বুধবার ডাবলিনে ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী
নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে মাশরাফিরা। দেশের বাইরে এটা কিউইদের
বিপক্ষে টাইগারদের প্রথম জয়। এর আগে কিউইদের যে আটবার হারিয়েছে বাংলাদেশ
তার সবকটিই ছিল দেশের মাটিতে।
দেশের বাইরে নিউজিল্যান্ড বাদে অন্য সব দলের বিপক্ষেই জয় আছে বাংলাদেশের। এবার নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দেশের বাইরে জয়ের বৃত্ত পূরণ করলো মাশরাফি বাহিনী।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৭০ রান তুলে নিউজিল্যান্ড। জবাবে তামিম, সাব্বির, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দারুণ ব্যাটিংয়ে ১০ বল বাকি থাকতে দারুণ জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
২৭১ রান ছোটখাটো টার্গেট নয়। শুরুতে কোনো রান না করে যখন সৌম্য ফিরে গেলেন তখন টার্গেটটা আরো বড় মনে হয়েছিল।
তবে শুরুর এ ধাক্কা বেশ ভালোমতো সামলান তামিম ইকবাল ও সাব্বির রহমান্। ১৬৩ রানের মুল্যবান জুটি গড়ার পর ৮০ বলে ৬৫ রানে আউট হন তামিম। তার আগে ৫৪ বলে ক্যারিয়ারের ৩৬তম হাফ সেঞ্চুরিটা তুলে নেন তামিম ইকবাল। ত্রিদেশীয় সিরিজে এটা তার দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি।
তামিম আউট হবার পরপরই মোসাদ্দেকের সঙ্গে ভুল বোঝা বুঝিতে রান আউট হন সাব্বির। তিনিও করেন ৬৫ রান, ৮৩ বলে। ওয়ানডেতে এটা সাব্বিরের পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি। এর অল্প পরেই ব্যক্তিগত ১০ রান করে ফিরেন তরুণ মোসাদ্দেক। ফলে কিছুটা চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
উইকেটে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। এ জুটির উপরই নির্ভর করছিল সব কিছু। দায়িত্ব বেশ ভালোই পালন করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু সাকিব যেতে পারেননি বেশিদুর। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে তিনি আউট হন ১৯ রানে।
তবে এদিন শুরু থেকেই দারুণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে থাকেন মুশফিকুর রহিম। মুশফিক উইকেটে, তাই ভরসাও পাচ্ছিলো দল। আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদ উল্লাহ রিযাদও ছিলেন পুরোপুরি সাবলীল।
এ জুটির অসাধারণ ব্যাটিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন কিউই বোলাররা। আস্তে আন্তে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ১০ বল বাকি থাকতেই দলকে দারুণ এক জয়ে পৌঁছে দেন তারা। ৪৫ বলে ৪৫ করে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। অন্য দিকে ৩৬ বলে ৪৬ রানের দারুণ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন রিয়াদ।
এদিন টসে জিতে কিউদের ব্যাট করতে পাঠান মাশরাফি। সকালের সীম কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে দ্রুত উইকেট তুলে নেওয়াই ছিল অধিনায়কের পরিকল্পনা।
শুরুতে মোস্তাফিজ (রনচি ২) ব্রেক থ্রু এনে দিলেও অনেকগুলো ক্যাচ মিসের মাশুল দিতে হয়েছে টাইগারদের। তিন তিন বার জীবন পান নাথাম।প্রথম ওভারেই বিদায় হয়ে যেতে পারত টম ল্যাথামের। কিন্তু মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে ওঠা সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন নাসির হোসেন। যার মাশুল গুণতে হয় । ধেই ধেই রান তুলতে থাকে নিউজিল্যান্ড।
১৪তম ওভারের পঞ্চম বলে ফের ক্যাচ তুলে দেন ল্যাথাম। এবারও মিস। অল্পের জন্য ক্যাচটি তালুবন্দি করতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন। ২৬তম ওভারের শেষ বলেই উইকেট পেতে পারতেন ক্যাচ ড্রপ করা নাসির। কিন্তু লং এক্সট্রা কাভারে ওঠা নাথামের ক্যাচটি ড্রপ করেন সৌম্য। অবশ্য পরের ওভারেই উইকেটের স্বাদ পান ৭ মাস পর দলে ফেরা অলরাউন্ডার নাসির।
দারুণ খেলতে থাকা নেইল ব্রুমকে তিনি ফেরান ৬৩ রানে। ব্রুম-নাথাম জুটি মহা চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছিলেন বাংলাদেশের জন্য। তিন বার জীবন পাওয়া নাথাম এগুচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু নিজের পরের ওভারেই নাথামকে বোল্ড করেন নাসির। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জোড়া আঘাতে একাদশে ফেরার যথার্থতা প্রমাণ করেন তিনি।
আউট হবার আগে অবশ্য কাজের কাজটি করে যান নাথান। ৮১ বলে খেলেন ৮৪ রানের মূল্যবান ইনিংস। ব্রুম-নাথানের পর চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ান টেলর- অ্যান্ডরসন জুটি। দ্রুত রান তুলছিলেন এ জুটিও। ২৪ রানে অ্যান্ডরসন ও সান্টনারকে শূন্যতে ফিরিয়ে রান তোলার গতি কিছুটা হলেও মন্থর করেন সাকিব।
এরপর মাশরাফি ঝলক। অসাধারণ বোলিং করে পরপর দুই উইকেট নিয়ে স্বস্তি এনে এ বাংলাদেশ অধিনায়ক। প্রথমে তিনি ফেরান নিশামকে,৬ রানে। মাশরাফির পরের শিকার কলিন মোনরো। মাশরাফি তোপে মাত্র ১ রান করতে পেরেছেন মোনরো। শেষ পর্যন্ত ২৭০ রানে থামে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস।
বাংলাদেশের পক্ষে মাশরাফি, সাকিব, নাসির দুটি করে উইকেট নেন। মোস্তাফিজ ও রুবেল পান একটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ২৭০/৮ ( নাথান ৮৪, রনচি ২, ব্রুম ৬৩, অ্যান্ডারসন ২৪, টেলর ৬০, নিশাম ৬, সান্টনার ০, মনেরো ১ ; মাশরাফি ২/৫২ , মোস্তাফিজ ১/৪৬, সাকিব ২/৪১ , নাসির ২/৪৭, রুবেল ১/৫৬)
বাংলাদেশ ওভারে ৪৮.২ ওভারে ২৭১ /৫ ( তামিম ৬৫, সৌম্য ০, সাব্বির ৬৫, মোসাদ্দেক ১০, মুশফিক ৪৫*, সাকিব ১৯, মাহমুদ উল্লাহ ৪৬* ; প্যাটেল ২/৫৫ )
দেশের বাইরে নিউজিল্যান্ড বাদে অন্য সব দলের বিপক্ষেই জয় আছে বাংলাদেশের। এবার নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দেশের বাইরে জয়ের বৃত্ত পূরণ করলো মাশরাফি বাহিনী।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৭০ রান তুলে নিউজিল্যান্ড। জবাবে তামিম, সাব্বির, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দারুণ ব্যাটিংয়ে ১০ বল বাকি থাকতে দারুণ জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
২৭১ রান ছোটখাটো টার্গেট নয়। শুরুতে কোনো রান না করে যখন সৌম্য ফিরে গেলেন তখন টার্গেটটা আরো বড় মনে হয়েছিল।
তবে শুরুর এ ধাক্কা বেশ ভালোমতো সামলান তামিম ইকবাল ও সাব্বির রহমান্। ১৬৩ রানের মুল্যবান জুটি গড়ার পর ৮০ বলে ৬৫ রানে আউট হন তামিম। তার আগে ৫৪ বলে ক্যারিয়ারের ৩৬তম হাফ সেঞ্চুরিটা তুলে নেন তামিম ইকবাল। ত্রিদেশীয় সিরিজে এটা তার দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি।
তামিম আউট হবার পরপরই মোসাদ্দেকের সঙ্গে ভুল বোঝা বুঝিতে রান আউট হন সাব্বির। তিনিও করেন ৬৫ রান, ৮৩ বলে। ওয়ানডেতে এটা সাব্বিরের পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি। এর অল্প পরেই ব্যক্তিগত ১০ রান করে ফিরেন তরুণ মোসাদ্দেক। ফলে কিছুটা চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
উইকেটে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। এ জুটির উপরই নির্ভর করছিল সব কিছু। দায়িত্ব বেশ ভালোই পালন করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু সাকিব যেতে পারেননি বেশিদুর। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে তিনি আউট হন ১৯ রানে।
তবে এদিন শুরু থেকেই দারুণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে থাকেন মুশফিকুর রহিম। মুশফিক উইকেটে, তাই ভরসাও পাচ্ছিলো দল। আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদ উল্লাহ রিযাদও ছিলেন পুরোপুরি সাবলীল।
এ জুটির অসাধারণ ব্যাটিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন কিউই বোলাররা। আস্তে আন্তে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ১০ বল বাকি থাকতেই দলকে দারুণ এক জয়ে পৌঁছে দেন তারা। ৪৫ বলে ৪৫ করে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। অন্য দিকে ৩৬ বলে ৪৬ রানের দারুণ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন রিয়াদ।
এদিন টসে জিতে কিউদের ব্যাট করতে পাঠান মাশরাফি। সকালের সীম কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে দ্রুত উইকেট তুলে নেওয়াই ছিল অধিনায়কের পরিকল্পনা।
শুরুতে মোস্তাফিজ (রনচি ২) ব্রেক থ্রু এনে দিলেও অনেকগুলো ক্যাচ মিসের মাশুল দিতে হয়েছে টাইগারদের। তিন তিন বার জীবন পান নাথাম।প্রথম ওভারেই বিদায় হয়ে যেতে পারত টম ল্যাথামের। কিন্তু মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে ওঠা সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন নাসির হোসেন। যার মাশুল গুণতে হয় । ধেই ধেই রান তুলতে থাকে নিউজিল্যান্ড।
১৪তম ওভারের পঞ্চম বলে ফের ক্যাচ তুলে দেন ল্যাথাম। এবারও মিস। অল্পের জন্য ক্যাচটি তালুবন্দি করতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন। ২৬তম ওভারের শেষ বলেই উইকেট পেতে পারতেন ক্যাচ ড্রপ করা নাসির। কিন্তু লং এক্সট্রা কাভারে ওঠা নাথামের ক্যাচটি ড্রপ করেন সৌম্য। অবশ্য পরের ওভারেই উইকেটের স্বাদ পান ৭ মাস পর দলে ফেরা অলরাউন্ডার নাসির।
দারুণ খেলতে থাকা নেইল ব্রুমকে তিনি ফেরান ৬৩ রানে। ব্রুম-নাথাম জুটি মহা চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছিলেন বাংলাদেশের জন্য। তিন বার জীবন পাওয়া নাথাম এগুচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু নিজের পরের ওভারেই নাথামকে বোল্ড করেন নাসির। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জোড়া আঘাতে একাদশে ফেরার যথার্থতা প্রমাণ করেন তিনি।
আউট হবার আগে অবশ্য কাজের কাজটি করে যান নাথান। ৮১ বলে খেলেন ৮৪ রানের মূল্যবান ইনিংস। ব্রুম-নাথানের পর চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ান টেলর- অ্যান্ডরসন জুটি। দ্রুত রান তুলছিলেন এ জুটিও। ২৪ রানে অ্যান্ডরসন ও সান্টনারকে শূন্যতে ফিরিয়ে রান তোলার গতি কিছুটা হলেও মন্থর করেন সাকিব।
এরপর মাশরাফি ঝলক। অসাধারণ বোলিং করে পরপর দুই উইকেট নিয়ে স্বস্তি এনে এ বাংলাদেশ অধিনায়ক। প্রথমে তিনি ফেরান নিশামকে,৬ রানে। মাশরাফির পরের শিকার কলিন মোনরো। মাশরাফি তোপে মাত্র ১ রান করতে পেরেছেন মোনরো। শেষ পর্যন্ত ২৭০ রানে থামে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস।
বাংলাদেশের পক্ষে মাশরাফি, সাকিব, নাসির দুটি করে উইকেট নেন। মোস্তাফিজ ও রুবেল পান একটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ২৭০/৮ ( নাথান ৮৪, রনচি ২, ব্রুম ৬৩, অ্যান্ডারসন ২৪, টেলর ৬০, নিশাম ৬, সান্টনার ০, মনেরো ১ ; মাশরাফি ২/৫২ , মোস্তাফিজ ১/৪৬, সাকিব ২/৪১ , নাসির ২/৪৭, রুবেল ১/৫৬)
বাংলাদেশ ওভারে ৪৮.২ ওভারে ২৭১ /৫ ( তামিম ৬৫, সৌম্য ০, সাব্বির ৬৫, মোসাদ্দেক ১০, মুশফিক ৪৫*, সাকিব ১৯, মাহমুদ উল্লাহ ৪৬* ; প্যাটেল ২/৫৫ )
Tags:
life style